নানান কারণে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।<br /><br />অনিদ্রা :-<br /><br />যাদের অনিদ্রার সমস্যা আছে তাদের প্রতিনিয়ত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।<br /><br />যুক্তরাষ্ট্রের মস্তিষ্ক ও ঘুম-বিষয়ক চিকিৎসক নেইট ফাভিনির মতে, “প্রত্যেকেরই কখনও না কখনও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের সমস্যা যখন জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব রাখা শুরু করে তখন তা অনিদ্রার সমস্যায় পরিণত হয়।”<br /><br />অনিদ্রার লক্ষণ :-<br /><br />- দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে থাকার পরও ঘুম না আসা।<br /><br />- রাতে অনবরত হাঁটা চলা করা।<br /><br />- তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যাওয়া ও পরে ঘুম না আসা।<br /><br />এই ধরনের সমস্যা যত বেশি দিন থাকবে তত বেশি স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেবে।<br /><br />অনিদ্রার কারণে সাধারণত নিচের সমস্যাগুলো দেখা যায় :-<br /><br />- অমনোযোগ, অস্থিরতা, স্মৃতি হ্রাস।<br /><br />- শক্তি ও অনুপ্ররণার অভাব।<br /><br />- অস্বস্তি, হতাশা ও উদ্বেগ।<br /><br />- মাথা-ব্যথা, শরীরে-ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি।<br /><br />যদি ক্লান্তিবোধ করেন ও ঘুমের সমস্যা কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অথবা সুসম্পর্কে বজায় রাখতে বাধা সৃষ্টি করে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।<br /><br />অনিদ্রার ধরণ :-<br /><br />অনিদ্রার সময়ের ব্যাপ্তির উপর ভিত্তি করে একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়<br /><br />‘অ্যাকিউট’ বা তীব্র অনিদ্রা :-<br /> কোন বিশেষ কারণে অনিদ্রা দেখা দেয় যেমন- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ এবং কয়েকদিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।<br /><br />ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা :-<br />এটা সাধারণত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘদিনের জন্য- প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে কমপক্ষে তিন মাস ব্যাপী।<br /><br />গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমেরিকানদের মধ্যে প্রতি বছর ২৫ শতাংশের তীব্র অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয় এবং তার ৭৫ শতাংশই দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রার সমস্যায় পরিণত না হয়ে সমাধান হয়ে যায়।<br /><br />কারণ :-<br /><br />সাধারত, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এই দুই কারণে অনিদ্রা দেখা দেয়। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য হল- মাধ্যমিক অনিদ্রা সাধারণত অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়ে থাকে। আর প্রাথমিক অনিদ্রা হল প্রধান অসুস্থতা। <br /><br />প্রাথমিক অনিদ্রা :-<br /><br />এটা কোনো স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত না এটা সাধারণত তীব্র অনিদ্রা। এটা মূলত নিম্নোক্ত কারণের জন্য হয়ে থাকে-<br /><br />মানসিক চাপ :-<br />চাকুরির সাক্ষাৎকার, পরীক্ষা এমন কি জীবনের বড় কোনো পরিবর্তন যেমন- কাছের কারও মৃত্যু বা সম্পর্কে বিচ্ছেদ ইত্যাদি নানা কারণে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।<br /><br />আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশের অভাব :-<br />উদাহরণ স্বরূপ, ঘুমানোর সময় বেশি গরম, বা ঠাণ্ডা ইত্যাদি কারণেও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।<br /><br />ঘুমের অনিয়মিত রুটিন :-<br />অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস যেমন- প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে না যাওয়া। ঘুমের রুটিনের পরিবর্তন এই ধরনের অনিদ্রার কারণ।<br /><br />এই ধরনের সমস্যা চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই সমাধান করা সম্ভব।<br /><br />মাধ্যমিক অনিদ্রা :-<br /><br />সাধারণত, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে এই ধরণের অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, বিভিন্ন রকম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ এমনটা দেখা দিতে পারে। <br /><br />এই চ্যানেলটি ফলো করুন।